তাজ ইসলাম র ৪ টি ছড়া
১. বাংলা আমার মায়ের ভাষা
পাখির ভাষায় পাখি বলে
পাখির সাথে কথা
কুলুকুলু শব্দে ভাঙে
নদীর নীরবতা
প্রজাপতি কথা বলে
রোজই ফুলের সাথে
জোসনা চাঁদের মৌন কথা
চলে নিঝুম রাতে।
আমার মনের গহীন তলে
যত দুঃখ আশা
সকল কিছুই প্রকাশ করে
আমার মায়ের ভাষা।
বাংলা আমার মায়ের ভাষা
তার তুলনা নাই
এই ভাষাতে কথা বলি
আনন্দে গান গাই।
২. খোকন সোনা পান্না
আয়রে খোকন আয় না
ধরিস না আর বায়না।
কম্পিউটার দিব কিনে
দেখবি ভুটান চায়না।
পিড়ামিডের শহর দেখে
আসবি আরব আমিরাতে
গজল গেয়ে কোন শহরে
ঘুরত সাদি জামি রাতে!
দেখবি খোকন কোন সাগরের
কেউ তলদেশ পায় না!
কম্পিউটার খুললে পাবি
গ্রহের দেশের সকল খবর
তাইতো কিনে দিব তোকে
একটুখানি কর না সবর।
দেখবি খোকন বিষূবরেখার
কোন কর্ণারে গায়না
খোকন সোনা পান্না
আর করো না কান্না।
৩. বৃষ্টি এলো ঝুমায়া
বৃষ্টি পড়ে ঝুমুর ঝুম
বৃষ্টি পড়ে কোথায়?
বৃষ্টি পড়ে টিনের চালে
গাছের পাতায় ডালে ডালে।
বৃষ্টি পড়ে বৃষ্টি পড়ে
বৃষ্টি পড়ে কোথায়
বৃষ্টি পড়ে বাইরে থাকা
খুকুর ছোট জুতায়
ভাঙা পাটা পোতায়।
বৃষ্টি পড়ে ঝুমুর ঝুম
বৃষ্টি পড়ে কোথায়
বৃষ্টি পড়ে খুকুর রঙিন
ঘুড়ি নাটাই সূতায়।
ঝুমঝুমায়া বৃষ্টি পড়ে
হেথায় এবং হোথায়।
বৃষ্টি পড়ে বৃক্ষ শাখায়
বসা দুটো পাখির পাখায়
উঠোন জুড়ে ছড়িয়ে থাকা
ভাঙা চুড়ি ভাঙা শাঁখায়।
বৃষ্টি পড়ে মাথায়
মেলে ধরা ছাতায়
দড়ির উপর ছড়িয়ে রাখা
খুকির ছোট কাঁথায়।
বৃষ্টি এলো ঝুমায়া
খুকি গেল ঘুমায়া।
৪. নয়া ডালিম কুমার
ডালিম কুমার ডালিম কুমার
সবাই আছে আশায় তোমার
এইতো তুমি আসবে!
রাক্ষুসি প্রাণ হাতে তোমার
করবে নিপাত ডালিম কুমার
কালো জলে কালো ভ্রমর
মরে তখন ভাসবে
মানুষ সুখে আসবে।
মানুষখেকো রাক্ষুসিরা
রাত্রে কী প্রভাতে
রাজ্যে ঘুরে রক্তমাখা
দন্ত এবং হাতে।
ডালিম কুমার ডালিম কুমার
রাক্ষুসি খুন করতে তোমার
রাজ্যে লাগে আসা
ডালিম কুমার এই জনতার
তুমিই প্রিয় আশা।
ডালিম কুমার তোমার হাতেই
মরণ লেখা যার।
গভীর জলে কৌটা ভরা
প্রাণ ভোমরা তার।
এক ডুবে এই ভ্রমরটাকে
ধর এবং মার
জলদি এসো ডালিম কুমার
যত দ্রুত পার।
ডালিম কুমার ডালিম কুমার
রাক্ষুসি খুন করতে তোমার
প্রতি প্রবল আশা
ডালিম কুমার ডালিম কুমার
মুক্তিঘোড়ার পিঠে তোমার
চড়েই হোক আসা।
ডালিম কুমার আসবে
আনন্দে সব ভাসবে।
…