তারাবির নামাজের পর ইমাম দোয়া করলেন যেন ঠিকাদারদের ফাইলগুলো দ্রুত আল্লাহ সমাধান করে দেন। পরেরদিন নামাজ পড়াতে মসজিদে আসতেই অফিস থেকে জানানো হয় ইমামের চাকরি নাই।
রোববার (১৬ এপ্রিল) কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
মসজিদের ইমামের এমন দোয়া পড়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) ইঞ্জিনিয়ার জুলফিকার মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদকের কাছে ওই ইমামের চাকরিচ্যুত করার নির্দেশ দেন। পরে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্টোর কিপার আ. বাতেন তাকে অপসারণ করে নতুন ইমাম নিয়োগ দেন।
জানা যায়, কিছু দিন পূর্বে জুমার নামাজের বক্তব্যে ঘুষ এবং দুর্নীতি নিয়ে এ রকম বয়ান দেন ইমাম সাহেব। কোরআন ও হাদিসের আলোকে ঘুষ এবং দুর্নীতির বিষয়ে ইসলামের অবস্থান তুলে ধরেন তিনি। ইমাম সাহেব কোরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে এসব কথা বলেন। ঘুষ এবং দুর্নীতির বাদ দিয়ে তওবা করার কথাও বলেন তিনি। এসব বয়ানের কারণেও বিগত দিনে মসজিদ কমিটির মাধ্যমে ইমাম সাহেবকে সতর্ক করে দেয়া হয়।
কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) ও মসজিদ কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার জুলফিকার এর সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে, তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে বিব্রতবোধ করেন।
কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি স্টোর কিপার আ. বাতেন বলেন, এখনো তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়নি শুধু নামাজ পড়াতে নিষেধ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
চাকরিচ্যুত পল্লী বিদ্যুৎ জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাও. রুহুল আমিন বলেন, আমার কাছে কয়েকজন ঠিকাদার দোয়া চেয়েছেন যেন তাদের ফাইলপত্র সকল বাঁধাবিপত্তি পেরিয়ে আল্লাহ যেন সমাধান করে দেন। আর এই দোয়াই আমার কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাকে অফিসেও ডুকতে দেয়া হয় না। এই মসজিদে নামাজ পড়তেও বাঁধা দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, মাহে রমজানের মাসে ইদের আগে আমাকে আপমান করে চাকরিচ্যুত করায় আমি এলাকায় মুখ দেখাতেও লজ্জা হচ্ছে।