আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ -৩ (করিমগঞ্জ -তাড়াইল) আসন থেকে আওয়ামী লীগ নৌকা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এবার ব্যালটে থাকছে না নৌকা প্রতীক। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ আসনটিতে ছেড়ে দিয়েছে জাতীয় পার্টিকে।তা সত্ত্বেও এখানে লাঙ্গলের জয় নিশ্চিত নয় বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। কারণ এ আসনে আওয়ামীলীগের শক্তিশালী ৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে।
এ আসনের নির্বাচনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন,এবার জাতীয় পার্টির প্রার্থী জাপা মহাসচিব
মুজিবুল হক চুন্নু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব:) নাসিমুল হক,স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার গোলাম কবির ভূইয়া ও নিউইয়র্ক আওয়ামীলীগ নেতা মাহফুজুল হক হায়দার এর মধ্যে তুমূল লড়াই হবে।
এ আসনে করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সদ্য পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদকে নৌকার প্রার্থী ঘোষণা দেয়।তবে এ আসনটি ছেড়ে দেওয়া হয় জাতীয় পার্টিকে।
নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশই লাঙ্গলের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মরিয়া।
তবে তাড়াইল উপজেলা আওয়ামীলীগ ও করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব:) নাসিমুল হক ও ব্যারিস্টার গোলাম কবির ভূইয়ার পক্ষে জোর প্রচারে নেমেছেন।একটি পক্ষ মাহফুজুল হক হায়দারের পক্ষেও কাজ করছে।
আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করা নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ বলেন, ‘নেত্রী আমাকে নৌকার মাঝি করে পাঠিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছাড়তে হয়েছে।তবে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে আমরা মাঠে আছি।’
ব্যারিস্টার গোলাম কবির ভূইয়া বলেন,
আমি বিগত বছর গুলিতে করিমগঞ্জ তাড়াইলের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড গুলি প্রচার করেছি।আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে জনগণের সমর্থন নিয়ে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি।ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছি।আমি আশাবাদী করিমগঞ্জ তাড়াইলের জনগণ আমাকে নিরব ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে বিজয়ী করবে।
জাপা মহাসচিব ও জাতীয় পার্টির কিশোরগঞ্জ -৩ (করিমগঞ্জ -তাড়াইল)
প্রার্থী মুজিবুল হক চুন্নু বলেন,এ আসনে জাতীয় পার্টির একটি শক্ত অবস্থান রয়েছে।ফলে মানুষ লাঙ্গলে ভোট দেওয়ার জন্য বসে আছেন।জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিষ্কার নির্দেশনা থাকার পরও স্থানীয় আওয়ামী লীগের কিছু নেতা আমার বিরোধিতা করছে।এটা দুঃখজনক।