কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই মেয়ের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে নিজ ঘরে তাদের লাশ পাওয়া যায়।
ঘটনাটি হোসেনপুর উপজেলার সাহেদল ইউনিয়নের বসুরচর গ্রামের।তিনজন হলেন সৌদি প্রবাসী মঞ্জিল মিয়ার স্ত্রী তাসলিমা আক্তার (৩৫), মেয়ে মোহনা (১১) ও বন্যা (৭)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল সোয়া ৯টার দিকে মোহনার এক বান্ধবী বাড়িতে গিয়ে মোহনাকে ডাকতে গেলে ঘটনাটি জানাজানি হয়।খবর পেয়ে পুলিশ সুপারসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সিআইডি সহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা যান ঘটনাস্থলে।
সাহেদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফিরোজ উদ্দিন জানান, সকাল ১০ টার দিকে গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে তিনি ঘটনা জানতে পারেন।পরে বাড়িতে গিয়ে তিনজনের লাশ দেখতে পান।পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় মোহনাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন তিনি।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান,ঘরের দরজা খোলা ছিল। সকালে মোহনার বান্ধবী বাড়িটিতে গিয়ে দরজা ধাক্কা দিয়ে ঘরে ঢুকে তিনজনকেই মৃত অবস্থায় পায়।এরপরই ঘটনাটি জানাজানি হয়। তাদের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি উল্লেখ করে তিনি জানান,ঘরে ধস্তাধস্তির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।এরপরও আমরা ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড বলেই বেশি আশংকা করছি। সিআইডির ফরেনসিক টিমের সংগৃহিত আলামত এবং পোস্ট মর্টেম রিপোর্টের ভিত্তিতেই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ সুপার জানান, সন্দেহভাজনদের প্রতি আমাদের দৃষ্টি রয়েছে। এটি হত্যাকাণ্ড হলে সংশ্লিষ্ট সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, তাসলিমার স্বামী মঞ্জিল মিয়া ২০১৭ সাল থেকে সৌদি আরবে রয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে তিনি বাড়িতে এসেছেন মর্মে কেউ বলেনি।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করছেন।