কিশোরগঞ্জ কটিয়াদীরের করগাঁও ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ ক্যাম্পাস মডেল একাডেমীর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন,কৃতি শিক্ষার্থী সংবধর্না, অভিবাবক সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্টান ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৩আগস্ট) সকাল ৯টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিদ্যালয়ের সভাপতি জনাব শেখ শারফুদ্দিন আহমদ এর সভাপতিত্বে এ বার্ষিকি অনুষ্টার অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় ৩ নং করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়্যারম্যান লায়ন মোঃ নাদিম মোল্লা প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ও পুরস্কার বিতরণ করেন।
বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ও পরিচালক জনাব মোঃ মুজিবর রহমান ও জনাব রাকিব খানের সঞ্চালনায় পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,৩ নং করগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়্যারম্যান,জনাব আ.খ.ম. সিদ্দিক দুলাল,জনাব শাহজাহান কবির,জনাব শরাফ উদ্দিন লস্কর পারভেজ, করগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জনাব মাহবুবুর রহমান তুতন,করগাঁও বাজার বনিক সমিতির সভাপতি,জনাব শাহীদুর রহমান বাবুল,করগাঁও ইইনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব আব্দুর রব,বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের কটিয়াদী শাখার সভাপতি,জনাব শামীম আহম্মেদ,বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক জনাব আব্দুল আওয়াল,সাংবাদিক আব্দুর রউফ ভূইয়া,করগাঁও বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব মোঃ সেলিম লস্কর প্রমুখ।
এসময় স্থানীয় সাংবাদিক,এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, অভিভাবকবৃন্দ, ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পুরস্কার বিতরণ শেষে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন,,কোরআন তেলাওয়াত, গীতা পাঠ, শপথ বাক্য পাঠ,স্বাগত বক্তব্য, অনুষ্ঠানের উদ্বোধকের ভাষণ,অতিথিদের ভাষণ। অনুষ্ঠানে শপথ বাক্য পাঠ করেন,স্কুলটির একজন ৬ষ্ঠ শ্রেণির মেধাবী ছাত্র।
আলোচনা সভায় ৩ নং করগাঁও ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়্যারম্যান লায়ন নাদিম মোল্লা বলেছেন, শিশুদের জীবন গড়তে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার ব্যবস্থা করতে হবে। কেননা খেলাধুলা শরীর ও মনকে বিকশিত করে। তাই শিক্ষা হতে হবে আনন্দের মাধ্যমে, প্রতিযোগিতা নয়।
প্রতিষ্টানঠির অধক্ষ্য আসমা আক্তার সুরমা বলেন, ‘আমরা সব সময় এটা মনে করি যে, খেলাধুলা আমাদের অপরিহার্য। আমাদের ছেলেমেয়েরা যত বেশি খেলাধুলার সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারবে, সংস্কৃতিচর্চার সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারবে, সাহিত্যচর্চা করবে, তারা তত সমৃদ্ধ হবে। তাই লেখাপড়ার পাশাপাশি এগুলো একান্তভাবে দরকার।’
তিনি শিক্ষক ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ছেলে-মেয়েদের তাদের পড়াশোনার জন্য অতিরিক্ত চাপ দেয়া উচিত না। অতিরিক্ত চাপে লেখাপড়া নিয়ে শিশুদের মধ্যে যেন ভীতি তৈরি না হয় সেজন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের নজর দিতে হবে।আমরা প্রতিটি শিক্ষার্থীর প্রতি বিশেষ আন্তরিক।দুর্বল শিক্ষার্থীদের চিন্হিত করে,আলাদা স্পেসাল কেয়ারিং করি।পড়াশোনা করিয়ে সন্তানদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধ পরিকর।