কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে আলোচিত নিজ সন্তানকে নির্যাতনের ঘটনায় পিতা ইকবালকে আটক করেছে পুলিশ। উপজেলার মসূয়া ইউনিয়নের পাশ্ববর্তী উপজেলা পাকুন্দিয়ার ফুলদি এলাকা থেকে পুলিশের একটি অভিযানিক টিম তাকে আটক করে।
বুধবার (৩১ মে) তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে তাকে আটক করেছে কটিয়াদী মডেল থানার পুলিশ। ইকবাল পৌর এলাকার শিমুলতলী বাগরাইট মহল্লার নাজিম উদ্দীনের ছেলে।
পুলিশ সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সূত্র জানায়, অভিযানের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ইকবাল ঘনঘন তার অবস্থান পরিবর্তন করে। মুঠোফোন বন্ধ রাখে। দুরে কোথাও পালানোর চেষ্টা করছিলো। ফলে কিছুটা বিলম্ব হয় আটক করতে। শেষমেশ পুলিশের কৌশলের জালে সে আটক হয়।
জানা যায়, নিজ সন্তানদের মারধোর করার জন্য মাটি খুঁরে টর্চার সেল তৈরি করেছিলো বাবা। আশপাশের মানুষ যাতে মারধরের শব্দ শুনতে না পারে তার জন্য বাড়ির রান্না ঘরে তৈরি করা হয় গোপন গর্ত। আর এখানেই প্রায় সময় করা হতো নির্যাতন। অনেক সময় কান্নার গগনবিদারী আওয়াজ মিলিয়ে যেত এই মাটির গর্তের মধ্যে। এই পাশবিক নির্যাতনের শিকার হতো দুই বোন স্বর্ণা (৫) ও টুম্পা (৮)। যে বয়সে শিশুদের বাবার আদর যত্ন ও মমতা পাওয়ার কথা সেই বয়সে তাদের পেতে হচ্ছে বিভীষিকাময় অত্যাচার।
উল্লেখ্য, ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, পাঁচ বছরের শিশু স্বর্ণা। আপন পিতার হাতে নির্মম লাঠিপেটার শিকার হচ্ছে। এলোপাতাড়ি লাঠিপেটার ফলে ওমা! ও বাবা! বলে পিতার হাতে পায়ে ধরে মাফ চাইলেও মন গলেনি পিতার। বরং পায়ে লাথি দিয়ে আঘাতের পরিমাণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। প্রায় দশ মিনিট ধরে এই নির্যাতন চলে শিশুর উপর। আর এই দৃশ্যটি শিশুর সৎ মা রাবেয়া বাড়ির দরজায় বসে ভিডিও করেছে।
কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এসএম শাহাদাত হোসেন বলেন, পুলিশ সুপারের মাধ্যমে ভিডিওটি পাই। সাথে সাথেই পুলিশ তৎপর ছিলো। গভীর রাতে তাকে পুলিশের বিশেষ একটি টিমের হাতে আটক হয়।