বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অনেক উন্নয়ন করেছে। বিদ্যুৎ দিয়েছে, পদ্মা সেতু করেছে, মেট্রোরেল করেছে।
বহু টাকা চুরি করেছে বা প্রাচার করেছে।
দেশের রিজার্ভ লুটে খেয়েছে।
বিদ্যুৎ না নিয়েও কিছু লোককে বিদ্যুতের সম্পূর্ণ বিল পরিশোধ করেছে। আবার নতুন করে সেই চুক্তি নবায়ন করেছে।
কমিউনিটি ক্লিনিক করেছে। বহু নতুন রাস্তা পাকা করেছে। অনেক রাস্তায় নতুন লেন যুক্ত করেছে।
বহু আবোল তাবোল কথা বলেছে। তিরস্কার করেছে ব্যঙ্গ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে গুম,হত্যার অভিযোগ এসেছে। বিদেশ থেকে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন করেছে।
ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী বাহিনী বানিয়েছে। পুলিশ থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশন আইন আদালতকে পর্যন্ত নিজের বশে নিয়ে এসেছে।
জামাতকে বিএনপিকে পিষে ফেলার চেষ্টা করেছে।
ছিটমহল ভাগ করেছে। ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসে বিনাভোটে সরকার গঠন করেছে। বহু জায়গায় মরা মানুষের নামে মামলা দিয়েছে।
পদ পদবীর লোভ দেখিয়ে বহু ধর্ষণ করেছে। অন্যদেশের সঙ্গে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক বানিয়েছে।
পন্য সামগ্রির মূল্য বাড়িয়েছে। করোনা পরিস্থিতি সুন্দর ভাবে মোকাবিলা করেছে। আরো বহু কিছু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ করেছে।
আলোচনা সমালোচনায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকেছে শুরু থেকেই। “এক নেত্রীর এক আদেশ” এই ভিত্তিতেই হয়ত তারা চলেন।
যা-ই হোক বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে সকলের এগিয়ে আসতে হবে। বিএনপিও সাধু নয় আওয়ামী লীগ ও ভালো নয়। রাজনীতির মাঠ জুড়ে রয়েছে অগণন শকুনের দল। দেশের শিক্ষা,স্বাস্থ্য, আদালত, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন এগুলোকে সঠিক করার জন্য হলেও সর্বদলীয় একটি সরকার হতে পারে।
দেশকে এগিয়ে নিতে হলে ভালো কিছু করতে হবে। বহু ধনী হয়েছে আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা নেত্রী। কয়েকশো গুণ বেড়েছে কারো কারো সম্পত্তি তো কারো কারো ক্ষেত্রে হাজার গুণ।
বিএনপি হয়েছে নিঃস্ব। আসলে সবাই সবার আখের গোছাতে ব্যস্ত।
আমাদের দেশের স্বাস্থ্য সেবায় সমস্যার কারণে দেশের এলিট শ্রেণীর একদল মানুষ বিদেশে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। অথচ বাংলাদেশ ইচ্ছে করলেই পারতো।
চিকিৎসা খাতে প্রচুর অর্থ বরাদ্দ থাকলেও সে টাকা কোন না কোন ভাবে চলে যাচ্ছে লুটেরাদের পকেটে। উন্নয়নের সাইনবোর্ড লাগছে কিন্তু উন্নয়ন নেই।
নেতাদের পরিবার দেশের বাইরে থাকে তথা সেখানে তাদের সন্তানেরা পড়াশোনা করে। অথচ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা তারাই নিয়ন্ত্রণ করেন। ইচ্ছে করেই ভঙ্গুর জাতি
তারা তৈরি করছেন কি না সেটাও প্রশ্ন থেকে যায়।
শিক্ষা ব্যবস্থা ভালো হতে পারে। হওয়া উচিত। দেশের উন্নয়ন চাইলে অবশ্যই শিক্ষা ব্যবস্থায় নজর দিতে হবে।
নেতাদের বেতন বৃদ্ধি করে দিয়ে দূর্নীতি বন্ধ করার পরিকল্পনা করা যেতে পারে। একজন ওয়ার্ড মেম্বার ৮/১০ হাজার টাকা বেতন পেলে সে চুরি করবেই। আর চেয়ারম্যান যদি ৫০ হাজার টাকা বেতন না পায় তাহলেও সে চুরি করবে।
এই চুরি বন্ধ করতে পারলেই প্রান্তিক অঞ্চলে উন্নয়নের ধারা আরো গতিশীল হতে পারে।
আসলে চোর থেকে চোরের হাতে ক্ষমতার পালাবদল হয় তাই জনগণ আর তাদের হিসাব বুঝে পায় না।
বাংলাদেশ একদিন বদলে যাবে এমন স্বপ্ন নিয়েই ঘুমাতে যাই এবং ঘুম থেকে জাগি। অথচ স্বাধীনতার কত বছর পার হয়ে গেল চোরের সংখ্যা বাড়ল তবু কমল না।