কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নে ২০১১ সালে স্থাপিত হয় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।হাসপাতালটি উদ্বোধনের পর থেকেই কিশোরগঞ্জ জেলা সহ আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রোগী আসা শুরু করে।তারপর থেকেই সকল ধরনের সেবা প্রদান শুরু করে শহীদ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালটিতে রোগী ও স্বজনদের প্রবেশের জন্য মূল দুটি ফটক রয়েছে।দেখা গেছে একটি ফটকে কিছু সময়ের জন্য খোলা রাখা হয় ,অন্য দিকে জরুরী বিভাগের পাশে যে ফটকটি রয়েছে সেটি সর্বদাই খোলা রাখা হয়।সরেজমিনে হাসপাতালটি ঘুরে দেখা গেছে প্রথম যে ফটকটি রয়েছে, তা অধিকাংশ সময় বন্ধ রাখা হয় কারন অবৈধ দোকানপাট,ময়লার স্তূপ গড়ে উঠেছে।দেখা গেছে অবৈধ দোকানপাটের কারণে পথচারীর চলাচল বিঘ্নতা ঘটছে। এব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হকার জানায়, এখানে যেসব দোকানপাট গড়ে উঠেছে, সবকটি অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে, তিনি দাবী করেন, স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু লোক এসব দোকানপাট করে হকারদের কাছে ভাড়া দেন।
অবৈধ এসব দোকানপাটের কারণে সাধারণ পথচারী ও শহীদ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের মহিলা কর্মচারী অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানায় অনেকে। নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নার্স বলেন, যখন আমাদের সন্ধ্যার পর ডিউটিতে যেতে হয়, অনেকটা রাস্তা ঘুরে কর্মস্থলে পৌঁছাতে হয়। দেখা গেছে অনেক সময় অনেক অটো রিকশা আমাদের উপর তুলে দেয়, অনেক দুর্ঘটনার স্বীকার হতে হয়। কারণ আমরা ফুটপাত ব্যবহার করতে পারি না। মেইন রোড ধরে চলাফেরা করতে হয়। এজন্য আমাদের অনেক হয়রানির শিকার হতে হয়।
অবৈধ দোকানপাটগুলো পথচারীদের চলাচল অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অধিকাংশ সময় রাস্তায় জ্যাম লেগে থাকে। এমনকি অনেক দুর্ঘটনার শিকারও হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
হাসপাতালে রোগী নিয়ে আসা আকাশ নামে এক যুবক জানায়, রাস্তায় জ্যাম লেগে থাকার কারণে, ইমার্জেন্সি রোগী নিয়ে মেডিকেলে পৌঁছাতে অনেক সময় লেগে যায়। যেখানে এক থেকে দুই মিনিট লাগার কথা। সেখানে দেখা গেছে ২০ থেকে ২৫ মিনিট জ্যামে বসে থাকতে হয় এমনকি ইমার্জেন্সি রোগী নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়, মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে।”
দেখা গেছে কিশোরগঞ্জ স্টেশন হতে গছিহাটা পর্যন্ত রাস্তাটি সরু হওয়ায় চলাচলে এমনিতেই ব্যাপক সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়। তারউপর যদি হকাররা ফুটপাত দখল করে বসে তাহলে বেশ বিপাকে পড়ে যান জনসাধারণ।
এ বিষয়ে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোঃ হেলাল উদ্দীন বলেন, প্রথমত এই সড়কটি নতুন করে সংস্কার করতে হবে , এসব অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদে জেলা প্রশাসনের দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা ২বার জেলা প্রশাসনের কার্যালয় চিঠিও পাঠিয়েছি। তারা প্রথমবার কয়েকটি দোকান উচ্ছেদ করে । পুনরায় আবার একে একে দোকানপাট গড়ে তুলে স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু লোক। এসময় তিনি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের সাথে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে ৫ নং যশোদল ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ সুলতান রাজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের দায়িত্বে নই, তাই এই বিষয় নিয়ে আমি কোন কিছু বলতে পারব না। এসব অবৈধ দোকানপাটের বিষয়টি কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন কার্যালয় দেখে থাকে।”
সাধারণ মানুষের দাবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজের আশপাশ অবৈধ দোকানপাট মুক্ত একটি ফুটপাত। যেনো সবাই নির্ভিগ্নে চলাচল করতে পারে